মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল: নাড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা এলাকার লক্ষীপাশা গ্রামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নাসরিন আক্তার আয়শা (২০) নামে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের মো.আরাফাত কাজী (২২) এর স্ত্রী।
আরাফাতের পরিবার সূত্রে জানা যায়,ওইদিন সকালে তার শাশুড়ীর সাথে রান্নার কাজ করছিল এরপর হঠাৎ করে আয়শা তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়, পরে তার শাশুড়ী ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পায় আয়শা তার পরিহত ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। এরপরে তার স্বামী পুলিশ সদস্য এনামুল হক কাজী কে জানায়। তিনি এসে দেখতে পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ কে খবর দেয়।
খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের জানালা ভেঙ্গে আয়শার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে নিহত আয়শার নানি মোমেনা বেগমের সাথে মুঠোফনে কথা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন,১ বছর বিয়ে না হতেই প্রায় তাকে তার স্বামী আরাফাত মারধর করত,
এবং আরাফাতের মা-বাবা আমরা গরিব বলে এই বিয়ে মেনে নিতে চায় নি। তিনি আরো বলেন গত ১ সপ্তাহ আগে আয়শা আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসে পরে যশোরের ভাংগুড়া তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে সেখান থেকে আরাফাত তাকে তাদের বাড়ি তে নিয়ে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আরাফাতের পরিবার পারভিন নাহারের বাড়িতে দুইবছর ধরে ভাড়া আছেন, গত ১ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে মাগুরা জেলার শালিখা থানার তুশখালি গ্রামের বাহারুল মন্ডলের মেয়ের সাথে বিয়ে হয় আরাফাত এবং আয়শা দম্পতির।
তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া ঝাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। নিহতের শাশুড়ী করিমুন্নেছার কাছে আরাফাত ও আয়শার মারধর এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরাফাত মোবাইলে কথা বলায় আমার ছেলে বউ আয়শা তাকে সন্দেহ করায় তাদের মধ্যে মারামারি হতো। নিহত আয়শার স্বামী আরাফাতের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে পলাতক আছে তাকে পাওয়া যায়নি।
নিহত আয়েশার বড় বোন ফাতেমা,এবং চাচাতো ভাই, রবিউল ইসলাম,ও বাবা বাহারুল মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন আমাদের মেয়ে টা বিবাহের পর থেকে মারধর করতেন আরাফাত,ও আরাফাতের পরিবার আমাদের মেয়েটাকে মেনে নিতে চাই না,আমরা গরিব মানুষ হলে আজ আমার মেয়েটার জীবনেটা শেষ হয়ে গেলো, আয়েশার চাচাতো ভাই রকিবুল মন্ডল বলেন কাল রাত ১২ টার সময় আমার বোন আমাকে ফোন করে দুইশত টাকা চাই, ও বলে তাকে আরাফাত মারধর করেছে তাই সে বাবার বাড়িতে চলে আসবে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,জানালা ভেঙ্গে নিহত ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার পূর্বক সুরতাহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল ঘটনা জানা যাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।